বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৩ অপরাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
তারেক রহমানের বিজ্ঞ নেতৃত্বের কারণে শেখ হাসিনাকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছি-এম. জহির উদ্দিন স্বপন গৌরনদীতে দৈনিক যুগান্তরের বিরুদ্ধে বিড়ি শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল দুষ্টামিটাও ছিল যেমন স্পর্শকাতর, খেসারাতটাও দিতে হল তেমনি ভয়ঙ্কর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের ৫ সদস্যের বরিশাল মহানগরে আহ্বায়ক কমিটি গঠন গৌরনদীতে ইউএনওর নেতৃত্বে স্বেচ্ছাশ্রমে খালের কুচুরিপানা ও ময়লা পরিস্কার করল বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা বর্নাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভার মধ্যদিয়ে গৌরনদীতে জাতীয় সমবায় দিবস পালিত আমাদের নেতা তারেক রহমান একটি সাম্যের বাংলাদেশ গড়তে চান-জহির উদ্দিন স্বপন মেয়র হারিছ গ্রেপ্তারের খবরে গৌরনদীতে সাধারন মানুষের উল্লাস ফাঁসির দাবিতে বিএনপির বিক্ষাভ মিছিল গৌরনদীতে এইচপিভি টিকা দান ক্যাম্পেইনের শুভ উদ্বোধন কাশিপুরের ড্রেজার ব্যবসায়ী সুমনের অপকর্মে কেউ খুন হলে দায় নেবে না বিএনপি
দ্রুত টিকায় ফেরা জরুরি

দ্রুত টিকায় ফেরা জরুরি

করোনাকালে মানুষের ক্ষতি হয়েছে নানামাত্রিক। বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত অক্সফাম ও সিপিডির জরিপে দেখা যাচ্ছে, গত পনেরো মাসে দেশের ৬২ শতাংশ মানুষ কাজ হারিয়েছেন, ৮৬ শতাংশ মানুষের আয় কমে গেছে এবং ৭৮ শতাংশ মানুষ তাদের খরচ কমিয়েছেন। একই জরিপে দেখা যাচ্ছে, দেশের প্রায় অর্ধেক মানুষ তাদের খাওয়া কমিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছেন- এরও কারণ অবশ্যই অর্থনৈতিক এবং মূল দায় করোনার। যে তথ্য এসব পরিসংখ্যানে উঠে আসেনি তা হলো সমাজের মধ্য ও নিম্নআয়ের মানুষের ব্যক্তিগত ঋণ বৃদ্ধির খবর। বিভিন্ন জরিপে সমাজের ভিন্ন ভিন্ন খাতের মানুষের আর্থিক দুর্দশার চিত্রও উঠে আসে। করোনার অভিঘাত দিনমজুর থেকে সর্বস্তরের চাকরিজীবীর ওপরই পড়েছে। বলাই বাহুল্য সরকারি চাকরিতে এখনো বেতন-ভাতা ঠিকভাবেই চলছে, তা ছাড়া করোনার আঘাত নেমে আসার আগেই সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বাড়ানো হয়েছিল। কিন্তু বেসরকারি খাতে কর্মরত জনগোষ্ঠী এ ধরনের কোনো সুরক্ষা জালের মধ্যে না থাকায় তারা নিদারুণ কষ্টে পড়েছেন। এও বোঝা যাচ্ছে, করোনা অতিমারীর আঘাত কবে নাগাদ কাটবে তা কারও পক্ষেই বলা সম্ভব হচ্ছে না। গত বছর বার্ষিক বাজেট প্রণয়নের সময় কর্মকর্তারা ধারণা করেছিলেন সে বছরের মধ্যেই করোনার প্রভাব কেটে যাবে এবং অর্থনীতি আবার ঘুরে দাঁড়াবে। কিন্তু বাস্তবে সে আশাবাদের প্রতিফলন ঘটেনি। করোনার প্রথম ঢেউ কাটার পর যখন সামান্য হাঁফ ছাড়ার মতো অবস্থা তৈরি হয়েছিল তখনই, মাসখানেক পরেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত হানতে শুরু করে। এখন মাসখানেকের কঠিন সংগ্রাম শেষে আবার যেন করোনা সংক্রমণ স্তিমিত হওয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। তবে পূর্ব অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে আমাদের সতর্ক থাকার কোনো বিকল্প নেই। ইউরোপে করোনার তৃতীয় ঢেউও এসেছে, তার পর তারা এখন স্বাভাবিক জীবনে ফেরার চেষ্টায় রয়েছে। তাদের স্বাভাবিকতায় ফেরার এই আত্মবিশ্বাসের পেছনে অবশ্য কাজ করছে করোনার প্রতিষেধক টিকার সুলভ প্রাপ্যতা। ইউরোপ ও আমেরিকার দেশগুলোতে প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যার টিকাদান সম্পন্ন হয়েছে। সে তুলনায় এশিয়ায় তা ১০ শতাংশের নিচে আর আফ্রিকায় ২ শতাংশের নিচে। এখন বিজ্ঞানীরা মনে করছেন করোনার প্রভাব থেকে বাঁচার একমাত্র পথ হলো জনগণকে এর টিকার আওতায় আনা। বাংলাদেশ করোনা মোকাবিলায় তুলনামূলকভাবে উন্নত দেশ বা প্রতিবেশী ভারতের চেয়ে ভালো করলেও টিকা প্রদানের ক্ষেত্রে অগ্রগতি ও প্রস্তুতি আশানুরূপ নয়। বলা বাহুল্য টিকার জন্য এককভাবে ভারতের ওপর নির্ভর করে থাকা ঠিক হয়নি। এ উপলব্ধিতে পৌঁছতে দেরি হওয়ায় এখন প্রয়োজনীয় টিকার ব্যবস্থা করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। আমরা মনে করি বাংলাদেশকে নিজস্ব টিকা তৈরির পথেই এগোতে হবে। এ ব্যাপারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও উন্নত বন্ধুরাষ্ট্রের সহায়তা নিতে হবে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com